১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাল্টিপারপাস ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টার উদ্বোধনে রাষ্ট্রদূত

রোহিঙ্গাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ও জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছে তুরস্ক

প্রকাশ: নভেম্বর ৮, ২০২৩ ১০:২৬ pm , আপডেট: নভেম্বর ৮, ২০২৩ ১০:৩১ pm

পড়া যাবে: [rt_reading_time] মিনিটে


ইমাম খাইর, সিবিএন:
বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রমিজ শান বলেছেন, রোহিঙ্গাদের শিক্ষা, নিজস্ব সংস্কৃতি, বিনোদন, মানসিক বিকাশ ও জীবন মান উন্নয়নে কাজ করছে তুরস্ক। রোহিঙ্গারা যতদিন বাংলাদেশে থাকবে ততদিন তাদের পাশে আছি। প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

বুধবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে উখিয়ার ১৬ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তুর্কী সংস্থা টিকার অর্থায়নে নির্মিত মাল্টিপারপাস ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টার উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তুর্কী রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের দুঃখ দুর্দশা দেখে আমরা মর্মাহত হই। তাই বাংলাদেশ সরকারের মাধ্যমে ক্যাম্পে মানবিক কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে তুরস্ক।

অনুষ্ঠান শেষে ফিতা কেটে মাল্টিপারপাস ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টারের শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত রমিজ শান।

এরপর তিনি সেন্টারভুক্ত ১৩টি শেডের পাঠাগার, কনফারেন্স হল, গেম শেড, শেলাই কার্যক্রম ঘুরে দেখেন। রোহিঙ্গা শিশুদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে ছিলেন, তুর্কি সংস্থা টিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ডঃ ইমচ নাজে ইউরোলমাজ, শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, তুর্কি দিয়ানেত ফাউন্ডেশনের এডুকেশন এন্ড কালচারাল সার্ভিস ম্যানেজার এচান সেজান খিলিচ। এ সময় ক্যাম্পের আইন শৃঙ্খলায় নিয়োজিত এপিবিএন কর্মকর্তা ও সিআইসিসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

তুর্কী সংস্থা টিকার আর্থিক সহায়তায় নির্মিত মাল্টিপারপাস ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টারে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা, খেলাধুলাসহ মানসিক ও আর্থিক উন্নয়নমূলক ১৩ ধরণের কর্মকাণ্ড রয়েছে। বাঁশ-কাঠের সরঞ্জাম তৈরি, নকশি কাঁথা, সেলাই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে রোহিঙ্গা নারীদের দক্ষ করে গড়ে তুলা হচ্ছে। সেন্টারে ইংরেজি ও স্বদেশি ভাষা শিখছে রোহিঙ্গা শিশুরা।

এদিকে, মাল্টিপারপাস ট্রেনিং এন্ড কালচারাল সেন্টারের অবস্থান, অবকাঠামো, নির্মাণশৈলি, সাজসজ্জা ও সৌন্দর্যের প্রশংসা করেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত। এ জন্য সেন্টার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ‘হোম টেকনোলজি’র স্বত্বাধিকারী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীরকে ধন্যবাদ জানান।

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আলমগীরও তুর্কী রাষ্ট্রদূত, অর্থদাতা সংস্থা টিকা, দিয়ানেত ফাউন্ডেশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।